কন্টেন্ট হল ই-কমার্স মার্কেটিং এর প্রাণভোমরা। ই-কমার্সে ক্রেতার সাথে সরাসরি দেখা করার সুযোগ খুব কম বিধায় কন্টেন্টই শেষ ভরসা হিসেবে বিবেচিত হয়।
আপনার কন্টেন্ট যদি আকর্ষণীয় হয়, তথ্যসমৃদ্ধ হয় তাহলে সেই কন্টেন্টই ক্রেতার মন জয় করতে বড় ভূমিকা পালন করে।
কিন্তু শুধু ক্রেতার মন জয় করলেই তো হবে না, গুগলের মনও তো জয় করতে হবে। কারণ একটি কন্টেন্ট এসইও ফ্রেন্ডলি না হলে গুগল সার্চে আসবে না। আপনি হারাবেন সম্ভভাব্য ক্রেতার একটি বড় উৎস।
এর সমাধান হল এসইও কন্টেন্ট। আসুন এক নজরে দেখে নেই, এসইও কনটেন্ট কি এবং তা কি করে লেখনী ও পণ্যের বাজারজাতকরণে সহায়তা করে।
প্রথমেই চলুন জেনে নেয়া যাক এসইও কনটেন্ট কি? সহজ কথায়, এসইও কন্টেন্ট হল একটি কন্টেন্ট সাজানোর বিভিন্ন ধাপ যাতে করে আপনার কন্টেন্টটি সহজেই সবার কাছে পৌঁছাবে। এসইও কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, –
১. কি-ওয়ার্ড রিসার্চঃ কি-ওয়ার্ড রিসার্চ এমন একটি পদ্ধতি যার মাধম্যে ইন্টারনেট জগতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন জিনিসটি সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয় সে সম্পর্কে জানাবে।
২. কি-ওয়ার্ড অপটিমাইজেশনঃ এর মাধম্যে আপনার লেখার কোথায় ও কিভাবে কি-ওয়ার্ড রাখলে তা সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে তাই বোঝানো হয়।
৩. কন্টেন্ট সাজানোঃ আপনার কন্টেন্টের কোথায় কোন তথ্য থাকবে এবং কন্টেন্টটি যৌক্তিকভাবে সাজানো।
৪. প্রচারঃ প্রচারেই প্রসার, তাই কন্টেন্টের প্রচারের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে এবং এখানেও কিহু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
এবারে আসুন দেখে নেয়া যাক, কন্টেন্টের প্রকারভেদ যা বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট লিখতে আপনাকে সাহায্য করবে-
১. প্রোডাক্ট পেজ, যা সাধারণত পণ্যের প্রচার ও বিক্রয়ের জনপ্রিয় কৌশল।
২. গ্রাহকের সাথে সংযোগস্থাপন ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্লগ পোস্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৩. পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও বিশেষ ফিচারযুক্ত লেখা।
৪. কোন কিছুর লিস্ট যেমন ধরুন, ‘বাজারে বর্তমানে সেরা দশ স্মার্টফোন।
৫. কোন কাজ বা যন্ত্রের ব্যবহার জানিয়ে লেখা দীর্ঘ কন্টেন্ট সাধারণত গাইড হিসেবে পরিচিত।
৬. ভিডিও কন্টেন্ট সরাসরি দর্শকের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সহজেই জনপ্রিয় হয় এছাড়াও, গ্লোসারি, ডিকশনারিসহ নানা ধরনের কন্টেন্ট রয়েছে।
কিছু কৌশল রয়েছে যা অবলম্বন করে সহজেই আপনি কন্টেন্ট জনপ্রিয় করতে পারেন-
১. প্রথমেই লেখার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করুন।
২. যাদের জন্য লিখছেন তাদের পছন্দ-অপছন্দ, বয়স, চাহিদার দিকে নজর দিন।
৩. কবে, কখন ও কিরকম কন্টেন্ট লিখবেন ও প্রচার করবেন তা ঠিক করুন।
৪. সব ঠিক হলে পুনরায় বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করুন।
ব্যস, উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করুন আর নিজেই দেখুন কি করে আপনার সাদামাটা কন্টেন্ট হয়ে উঠে নেটজগতের জনপ্রিয়তম কন্টেন্ট।