14Jun
৫. বেসিক টুলস
ডিজিটার মার্কেটিং করতে গেলে ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, প্রিমিয়ার প্রো, আহরাফস (Ahrefs) টুলস, ইত্যাদির প্রয়োজন পড়ে। আর এগুলো আপনি কাউকে নিয়োগ দিয়ে বা আউটসোর্স করে করিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি নিজে কোন নিশ সেক্টর যেমন এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আহরাফস (Ahrefs) টুলস এর বেসিক জানতেই হবে।
যদি সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট হন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য যে যে টুলস দরকার সেগুলোর জ্ঞান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে তার ডিজাইন সেন্স তো অবশ্যই থাকতে হবে। কপি রাইট জানতে হবে। আগামী দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার ভবিষ্যত ভিডিও এর উপর নির্ভর করছে। তাই ভিডিও তৈরি করা, এডিট করা আমাদের শিখতে হবে। যদি ভিডিও এডিটিং না পারি তাহলে এর মৌলিক জিনিসগুলো জানতে হবে, যাতে অন্যকে দিয়ে কাজটি চালিয়ে নিতে পারি।
৬. অ্যানালাইটিকাল স্কিল ও ক্রিয়েটিভ স্কিল:
এই দুই ধরনের স্কিল অবশ্যই আমাদের থাকতে হবে। আমরা যখন ফেসবুক বা গুগলে কোন অ্যাড চালাই তার পর অ্যানালাইটিস অপশনে একটি রিপোর্ট আসে। যেখান থেকে আপনি জানতে পারেন, কারা এই অ্যাডটি দেখেছে, কোন অঞ্চল থেকে দেখেছে, তাদের পেশা কি, কি ধরনের এনগেইজমেন্ট হয়েছে এই অ্যাডে, ইত্যাদি। এক রিপোর্ট থেকে অনেক ডাটা আপনি পেয়ে যাবেন অ্যাড সম্পর্কে।
এর পর এই ডাটার উপর ভিত্তি করে আমাদের অ্যানালাইসিস করতে হবে কোন কাজটি আমাদের জন্য ভাল, আর কোন কাজটি আমাদের জন্য ভাল নয়।
এছাড়া ভাল রেজাল্ট পাওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন অর্ডিয়েন্সের উপর অ্যাড চালিয়ে আমাদের টেস্ট করে দেখতে হবে কোন অ্যাড থেকে ভাল রেজাল্ট আসছে। যখন অ্যাডের ডাটা আমাদের হাতে চলে আসবে তখন এই ডাটার ভিত্তিতে আমাদের কাজ করতে হবে।
আর ক্রিয়েটিভিটি হলো মার্কেটে সবাই যে ধরনের সার্ভিস দিচ্ছে তাদের থেকে ভিন্ন হয়ে নতুন কোন সার্ভিস দেওয়া বা একই সার্ভিসকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা। এক কথায়, এক কাজ করার জন্য দশটি পন্থা আবিস্কার করাই হলো ক্রিয়েটিভিটি। যেমন একই প্রোডাক্টের উপর দশ রকম ব্যানার তৈরি করে আপনার ক্রিয়েটিভিটি প্রয়োগ করতে পারেন।
বর্তমানে মার্কেটে দেখা যায় যারা ক্রিয়েটিভ তারা অ্যানালাইটিক নয়। আর যারা অ্যানালাইটিক তারা ক্রিয়েটিভ নয়। আর যাদের এই দুই গুণ আছে তাদের চাহিদার কোন শেষ নেই।
Leave a Reply